টি,এম,এ হাসান, সিরাজগঞ্জ: | সোমবার, ১৭ মে ২০২১ | প্রিন্ট
দূরপাল্লার সকল বাস বন্ধ থাকার পরেও সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে অসংখ্য বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাবার চেষ্টা করলে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় এসকল দূরপাল্লার বাস গুলোকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এদিকে হাজার হাজার মানুষের আস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রাক, পিক-আপ, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস। এমতাবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন ঢাকামুখী দূরপাল্লার বাস যাত্রীরা। পুলিশ বাস আটকে ফেরত দিলেও অধিকাংশ যাত্রীদের ছেড়ে দিচ্ছেন না বাসের স্টাফরা। এদিকে ঢাকা না গেলে চাকরি থাকবেনা উল্লেখ করে সবাই বলছেন লাখো মানুষ ট্রাক পিক-আপে চলাচল করলেও সমস্যা নেই তাহলে করোনা কি শুধু বাসেই আছে! সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে গাড়ির অত্যাধিক চাপ না থাকায় দূরপাল্লার সব বাস ঘুরিয়ে দেওয়া হলেও কোথাও যানজট দেখা যায়নি। তবে হাজার হাজার নারী পুরুষকে ট্রাকে দারিয়ে বসে যেতে দেখা গেছে। এছাড়াও অপেক্ষায় আছেন কয়েক হাজার মানুষ। সিরাজগঞ্জ হতে চন্দ্রা পর্যন্ত ট্রাকে ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৪শ থেকে ৭শ টাকা। কিন্তু কষ্টকে বিসর্জন দিয়ে ছুটছেন জীবিকা রক্ষার তাগিদে। যেন জীবনের চেয়ে এখন জীবিকা টাই বেশি জরুরী। সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি থেকে মিম-ঐশী ট্রাভেলসের একটি বাসে ঢাকা যাবার উদ্দ্যেশ্যে উঠেছেন একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। তাদের বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড়ে এসে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু বাসের স্টাফরা বাস পাশে পার্ক করে দাড়িয়ে আছেন যাত্রী নিয়ে। যাত্রীরা ভাড়া ফেরত চাইলেও দেরি করতে বলছেন। এদিকে যাত্রীরা বিরক্ত ও ক্ষিপ্ত হয়ে বলছেন “ট্রাকে লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে গেলেও কিছু হয়না আর বাস গেলেই করোনা হয়”! এদিকে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম হতে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা পর্যন্ত মানুষের প্রচুর দূর্ভোগ ও অসংখ্য ট্রাক, পিক-আপ, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল চলাচল করলেও কোথায় ধীরগতি বা যানজট দেখা যায়নি। তবে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় ও হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার গোলচত্বর এলাকায় যাওয়ার আশা নিয়ে প্রায় শতাধিকের মতো বাস আশেপাশে দাড় করিয়ে অপেক্ষা করছে। কড্ডা থেকে ট্রাফিক পরিদর্শক মো. আব্দুল গণি বলেন, মহাসড়কে যাত্রীদের প্রচুর চাপ থাকলেও দূরপাল্লার বাস নেই। কিছু আসলেও ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। মহাসড়কের কোথাও ধীরগতি ও যানজট নেই। এছাড়াও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী বলেন, গাড়ির চাপ বা দূরপাল্লার বাস না থাকলেও কর্মস্থলে ফিরতি মানুষের উপচে পড়া ভীড় আছে। যে যেভাবে পারছে গন্তব্য স্থলে যাবার চেষ্টা করছে। জীবিকার তাগিদে এদের বেশিরভাগই ট্রাকে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আসায় দূরপাল্লার বাস ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মামলা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া মুলিবাড়ি রেলগেট এলাকায় কিছু বাস অপেক্ষারত ছিল। যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে এই মুহুর্তে তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছি।
Posted ১১:৩৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৭ মে ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।