অনলাইন ডেস্ক | শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১ | পড়া হয়েছে 72 বার
টি.এম.এ হাসান, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জে কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এর প্রকোপে দীর্ঘ প্রায় ১৫মাস হলো বন্ধ হয়ে আছে বিনোদন পার্ক গুলো। মাঝখানে কিছুদিন খোলা থাকলেও সাড়া মেলেনি তেমন। কিন্তু দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকলেও কতৃপক্ষের কর্মচারী, পরিবেশ ও পশুপাখির পিছনে খরচ গুনতে হচ্ছে নিয়মিতই। যার ফলে এই দীর্ঘ সময়ে একেকটি বিনোদন পার্ক গুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে গড়ে প্রায় সাড়ে ১০লক্ষ টাকা। যে টাকা আজ পর্যন্ত আয় পর্যন্ত করেননি বলছেন একটি পার্কের কতৃপক্ষ। এদিকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্মান করা বিনোদন পার্ক নিয়ে অনেকেই পড়েছেন মহা বিপদে। অনেকেরই হয়ে গেছে গলার কাটা।
সিরাজগঞ্জ সদরে মোট ৩টি বিনোদন পার্ক আছে উল্লেখ করে উপজেলার কাদাই এলাকায় অবস্থিত আনন্দ বিলাস বিনোদন পার্কের পরিচালক মো. হুমায়ন কবির জানান, পার্কটি দীর্ঘদিন হলো বন্ধ থাকলেও খরচ গুলো থেমে নেই। মাঝখানে কিছুদিন চললেও আসেনি তেমন কোনও দর্শনার্থী। এখানে ৭জন কর্মচারী কাজ করেন উল্লেখ করে বলেন, এই ৭জনের বেতন ভাতা, বিদ্যুৎ, সার্ভিসিং ও এখানে দর্শনার্থীদের জন্য থাকা হরিণ, কবুতর, গাড়ল, দেশী বিদেশী হাস-মুরগী সহ পশুপাখির খরচ মিলিয়ে প্রতিমাসে প্রায় ৭০হাজার টাকা খরচ গুনতে হচ্ছে। এছাড়াও ১২কোটি টাকা মূল্যের জায়গার উপরে ২কোটির উপরে ব্যয় করে নির্মিত হয়েছিল এই পার্কটি। তিনি নিজে তেমন কোনও বেতন ভাতা নেননা জানিয়ে বলেন, সরকারি পার্কগুলোর কোনও সমস্যা নেই কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে সামনে এই ব্যাক্তি মালিকানা পর্যটন খাতের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হবে। এছাড়াও এখন ব্যাক্তিগতভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই খারাপ অবস্থায় আছি বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে আনন্দ বিলাস বিনোদন পার্কের স্বত্বাধিকারী ড. জুলফিকার আলী খান দেশের বাইরে থাকার কারনে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কিছুক্ষণ বিনোদন পার্কের স্বত্বাধিকারী ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী বলেন, যেহেতু আমার বিনোদন পার্কটি বানিজ্যিক নয় তাই যারা অনেক ক্ষুদ্র মানুষরাও অনেক টাকা বিনিয়োগ করে বানিজ্যিক বিনোদন পার্কগুলো করেছেন এবং করোনা মহামারীর কারনে সেগুলো যখন বন্ধের মত সেক্ষেত্রে তারা অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। এক্ষেত্রে যদি সরকার কোনও সহায়তা বা প্রনোদনা দিতে পারেন তাহলে তাদের জন্য অনেক ভালো হয়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, যেহেতু সরকারিভাবেই সারাদেশে বিনোদন কেন্দ্র গুলো বন্ধের নির্দেশনা আছে সেক্ষেত্রে এগুলো খুলে দেবার সুযোগ নেই। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর জন্য সরকারি ত্রাণ ব্যবস্থা চাকু আছে। তবে যদি ব্যাক্তিগতভাবে কোনও কর্মচারী আয়হীন হয়ে পড়ে ও মানবেতর জীবন যাপন করেন তাহলে তিনি আবেদন দিলে সেই অনুযায়ী সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel