রবিবার ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

কক্সবাজারের চকরিয়া ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক নিয়ে বিস্তৃত পরিকল্পনা ইউএনও’র

  |   বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০   |   প্রিন্ট

কক্সবাজারের চকরিয়া ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক নিয়ে বিস্তৃত পরিকল্পনা ইউএনও’র

শান্ত বণিক, বিশেষ প্রতিনিধি, চকরিয়া থেকে: কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে ছিল না পর্যটক-দর্শনার্থী আগমন। তাতে বেশ স্বাচ্ছন্দে ছিলেন পার্কের প্রাণীকুল। আর সেই সুযোগে করোনাকালের অন্তত পাঁচমাস সময়ে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে প্রাণীকুলে যেমন প্রাণচাঞ্চল্য ছিল, তেমনি আগমন ঘটেছে একের পর এক নতুন অতিথি। করোনা সময়ে পার্কের অন্তত শতাধিক নতুন অথিতি জন্ম নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পার্কের বনবিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।

মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, করোনা সংকটকালে সাফারি পার্ক বন্ধ থাকলেও প্রাণীকুলে এসেছে একের পর নতুন অতিথি। উল্লেখিত সময়ে সাফারি পার্কের প্রতিটি প্রাণীকুলে বেশ বংশ বিস্তার ঘটেছে। জন্ম নেয়া প্রাণীর মধ্যে বেশি এসেছে হরিণ। পরের অবস্থানে আছে বানর। জন্ম নিয়েছে ভাল্লুক, জলহস্তি। পাশাপাশি জন্মলাভ করেছে ময়ুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখী।
পার্কের বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, করোনা সময়ে জন্ম নেয়া বেশিরভাগ প্রাণীকে আমরা নিবিড় পরিসয্যায় বেড়ে তুলছি। সে জন্য পার্কের ভেটেরিনারী বিভাগের চিকিৎসক কর্মকর্তা সবাই কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে করোনা সময়ে পার্কের প্রেক্ষাপট পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। তিনি এ সময় পার্কের বেস্টনী ঘুরে ঘুরে জন্ম নেয়া প্রাণী গুলোর খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে ছিল না পর্যটক-দর্শনার্থী আগমন। তাতে বেশ স্বাচ্ছন্দে ছিলেন পার্কের প্রাণীকুল। আর করোনাকালীন সময়ে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে প্রাণীকুলে যেমন প্রাণচাঞ্চল্য ছিল, তেমনি আগমন ঘটেছে একের পর এক নতুন অতিথি।
তিনি বলেন, পরিদর্শনকালে জন্ম নেয়া প্রাণীগুলোর ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়েছি। প্রাণী যাতে ভালো ভাবে বেড়ে উঠে সে জন্য পার্কের ভেটেরিনারী বিভাগের চিকিৎসক কর্মকর্তা সবাইকে যত্ন সহকারে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্মক ভাবে এই সাফারি পার্কে অারো দৃষ্টি নন্দন করার জন্য পশু পাখির সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সৌন্দর্য বর্ধনের বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
জানা গেছে, প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দয্যের লীলাভূমি কক্সবাজার জেলা। পাহাড়, পর্বত, ঝর্ণাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বৈচিত্র দিয়ে ঘেরা এই জেলার প্রবেশদ্বার চকরিয়া উপজেলাতেই ডুলাহাজারা সাফারি পার্কটি অবস্থিত। এটি দেশের প্রথম সাফারি পার্ক। দেশের বিলুপ্তপ্রায় ও বিরল প্রজাতি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বংশবৃদ্ধিসহ মানুষের চিত্ত বিনোদন, গবেষণা ইত্যাদি নিশ্চিতের লক্ষ্যে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চকরিয়া উপজেলা এলাকায় স্থাপন করেন দেশের প্রথম “ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক”।
সেই থেকে সাফারি পার্কটি কক্সবাজারে ভ্রমনে আসা দেশ-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে হাজার প্রজাতির দেশী-বিদেশী পশু-পাখি। সাফারি পার্ক ও চিড়িয়াখানার মধ্যে পার্থক্য হলো -সাফারী পার্কে পশুপাখি থাকে মুক্ত পরিবেশে আর দর্শনার্থীরা থাকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে।
সাফারি পার্কের ইতিহাস থেকে জানা গেছে,  ডুলাহাজারা বগাচত্বর এলাকার ৯০০ হেক্টর আয়তনের গাছ-গাছালিতে ভরপুর এই জনপদটি ১৯৮০-৮১ সালে হরিন প্রজনন কেন্দ্র হিসাবে চালু হয়েছিল। বর্তমানে এটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য নানা রকম বুনো জীবজন্তুর নির্ভর আবাস স্থল এবং ইকো-ট্যুরিজম ও গবেষণার পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

 

Facebook Comments Box

Posted ৪:৩১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আজ বিজয়া দশমী
(935 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins