রবিবার ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন

একটাই চিন্তা করেছিলাম, এই দুঃসময়ে মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে হবে

  |   মঙ্গলবার, ০৬ অক্টোবর ২০২০   |   প্রিন্ট

একটাই চিন্তা করেছিলাম, এই দুঃসময়ে মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে হবে

নবকন্ঠ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কত টাকা আছে, কি আছে না আছে, সেটা চিন্তা করিনি। বরং একটাই চিন্তা করেছিলাম-এই দুঃসময়ে আমাদের অর্থনীতির চাকাটাকে যদি গতিশীল রাখতে হয় তাহলে অবশ্যই মানুষের হাতে আমাদের টাকা পৌঁছে দিতে হবে।

 

সরকার প্রধান বলেন, যদি টাকা না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষদের জীবনটা চালানোই মুশকিল হয়ে পড়ে। কাজেই তাঁদের সাহায্যে নগদ অর্থ এবং বিভিন্ন সেক্টরে আমরা সরাসরি যে টাকা পাঠিয়েছি সেটা কিন্তু কাজে লেগেছে। গ্রামে মানুষের কিছু একটা করে খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেটা তাঁরা করতে পেরেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল (একনেক)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন।

 

নগরীর শের-ই-বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী ও সচিবগণ অংশগ্রহণ করেন এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণভবন থেকে এতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যোগ দেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শিল্প ও অন্যান্য খাতে প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি কৃষিখাতে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি। আমরা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বড় এবং পোশাক শিল্পে আলাদা করে প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি। এছাড়া, কভিড-১৯ মহামারির পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সকল খাতে প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপার্সন কভিড-১৯ উপলক্ষে তাঁর সরকারের প্রণোদনা প্রদান ‘অত্যন্ত সময়োপযোগী’ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

 

তিনি বলেন, সর্বাগ্রে আমি কৃষির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বলেছি কৃষিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং খাদ্য উৎপাদনটা বাড়াতে হবে। মানুষের যেন খাবারের কষ্ট না হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা যে প্রণোদনাটা দিয়েছি সেই প্রণোদনাটা যখনই সকলে নিতে শুরু করেছে তখনই কিন্তু আস্তে আস্তে নিজ নিজ ব্যবসা-বাণিজ্যে তাঁরা ফিরে আসতে পেরেছে। কারণ, আমরা এমন কোন খাত বাদ নাই যাদেরকে সাহায্য করি নাই। শুধু বড়লোক বা বিত্তশালী নয়, সব ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাই প্রণোদনাটা পেয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা বা নগদ সাহায্য প্রদানের ধরণ সম্পর্কে বলেন, নতুন একটা পদ্ধতিতে আপনারা কাজটা করেছেন। কিন্তু রেজাল্ট যেটা দেখলাম সেটা আসলেই গ্রহণযোগ্য।

 

তিনি এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, মাঠ পর্যায়ের কর্মী এবং বিবিএসকে ধন্যবাদ জানান।

 

তিনি দেশের এক শ্রেণির তথাকথিত সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেকেই অনেক কথা বলছেন, আসলে এই রেজাল্টটা প্রচার করলে, না জেনে যারা নানা কথা বলে যাচ্ছেন- এটা হলো না, সেটা হলোনা, তারা একটু তথ্য পাবেন। যদিও বলাটাই তাদের একটা অভ্যাস, তারা বলবেই।

 

শেখ হাসিনা বলেন, কোন একটা কাজের পর সেটার কি (ফলাফল) হলো, মানুষের কাছে এর কতটুকু (সুফল) পৌঁছালো, সেই ফলাফলটা জানা খুব দরকার।

 

তিনি বলেন, এর ফলে পরবর্তীতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া দরকার এবং কোন কোন জায়গায় আরো গুরুত্ব দিতে হবে বা কোথায় আরো সহযোগিতা পৌঁছাতে হবে সেই কাজটা সঠিকভাবে করার একটা সুযোগ হয়। এটাই সবথেকে বড় কথা।

Facebook Comments Box

Posted ৬:৩২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ অক্টোবর ২০২০

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আজ বিজয়া দশমী
(995 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১১ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬, ০২ ৪১০৫০৫৯৮

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins