শনিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখার লকার থেকে ৬ ভরি স্বর্ণ উধাও।

রিয়াজ উদ্দিন রায়পুর লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ   |   সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১   |   প্রিন্ট

ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখার লকার থেকে ৬ ভরি স্বর্ণ উধাও।

-ইসলামী ব্যাংকের লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শাখার লকারে ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জমা রেখেছিলেন নাজমুন নাহার নামে এক গ্রাহক। লকারের চাবিও তার কাছেই ছিল। রোববার ব্যাংকে গিয়ে লকার খুলে দেখেন ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উধাও। এ ঘটনায় ওই রাতেই রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ব্যাংক ম্যানেজারের বক্তব্য শুনেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী নাজমুন নাহার ওই উপজেলার বামনী গ্রামের নজির আহমেদের স্ত্রী। বোববার বিকালে ব্যাংক থেকে স্বর্ণালঙ্কার আনতে গিয়ে বিষয়টি টের পান তিনি। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে নাজমুন নাহার ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখায় একটি লকার একাউন্ট খোলেন। তাকে ব্যাংকের ১৮ নম্বর লকারটি ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। তিনি সেখানে ছোট-বড় দুটি হার, একটি নেকলেস, দুই জোড়া চুড়ি, এক জোড়া কানের দুল, এক জোড়া ঝুমকা, একটি বড় আংটিসহ ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রাখেন। লকারের একটি চাবি নাজমুন নাহারকে দেওয়া হয়, অন্যটি রেখে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। নাজমুন নাহার জানান, গত ৯ মাসে লকারটি একবারের জন্যও খোলা হয়নি। রোববার দুপুরে তিনি ব্যাংকে গিয়ে ১৮ নম্বর লকারটি খুলে দেখতে পান সেখানে কোনো স্বর্ণালঙ্কার নেই। বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা টালবাহানা শুরু করে। পরে ম্যানেজার এসে ২০ নম্বর লকারটি খুলে ২২ ভরির মতো স্বর্ণালঙ্কার বের করে দেন। ম্যানেজারের কাছে ১৮ নম্বর লকারের স্বর্ণ ২০ নম্বরে যাওয়া এবং ৬ ভরি স্বর্ণ কম থাকার কোনো ঘটনায় ব্যাখ্যা দিতে না পারায় রোববার রাতেই নাজমুন নাহার রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখার ম্যানেজার মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের লকারে চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী আছে। লকার থেকে স্বর্ণ চুরি বা উধাও করা কঠিন। লকারের আগের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই আমরা এর সমাধান করব। গ্রাহকের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত করে গেছে। ভুক্তভোগী গ্রাহক নাজমুন নাহার বলেন, ওমরাহ করতে যাওয়ার আগে বাড়ি থেকে ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এনে ব্যাংকের লকারে রেখেছি। এখন লকার খুলে পেয়েছি ২২ ভরি। একটি চেইন, দুটি কানের দুল, দুটি রিং ও একটি নুপুর পাওয়া যায়নি। এগুলোর ওজন ৬ ভরি। পুলিশ ব্যাংকে গিয়ে তদন্ত করেও অনেক গড়মিল পেয়েছে। রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, ব্যাংকের লকার থেকে স্বর্ণ গায়েবের অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে ব্যাংক ম্যানেজারের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। রিয়াজ উদ্দিন রায়পুর(লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধি

Facebook Comments Box

Posted ১০:০০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins