ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ডিইপিজেড) কয়েকটি বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভের ঘটনায় আহত হওয়া শ্রমিক জেসমিন বেগম (৪২) এর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৩ জুন) বেলা ১০ টার দিকে আশুলিয়ার হাবিব মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সকালে পুরাতন ডিইপিজেডের সামনে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক এ বিক্ষোভ শুরু করে লেনি ফ্যাশন, লেনি এ্যাপারেলস, এ ওয়ান বিডি লিমিটেড, শাইন ফ্যাশন ও এভান্ট গার্ড কারখানার শ্রমিকরা। পুলিশ সড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে দৌড়ে ছুটাছুটি করার সময় বিদুৎতের খুটির সাথে ধাক্কা খেয়ে গুরুত্বর আহত হয় জেসমিন বেগম।
নিহত জেসমিন বেগম খুলনা জেলার ডুমিরিয়া থানার খাজুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ও তার স্বামী মাহবুব আশুরিয়ার বলিভত্র মধুপুর এলাকা থাকতেন। তিনি বর্তমানে গোলটেক্স গার্মেন্টসে অপারেটর (কার্ড নং ৩৪৩৪২৯) হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, বিক্ষোভের সময় দৌড়ে পালানোর সময় বৈদ্যুতিক খুটির সাথে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হয় জেসমিন। পরে পলাশবাড়ী হাবিব ক্লিনিক হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ১০ টার দিকে মৃত ঘোষনা করেন। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শিল্প পুলিশ -১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান বাংলানিউকে বলেন, আন্দোলনের সময় আমরা যখন ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছিলাম। আমাদের তখন করার কিছুই ছিলো না। ওই শ্রমিক তখন দৌড়ে পালাতে গিয়েছিলেন। এসময় তিনি খেয়াল না করায় বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে লেগে সে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে সে মারা যা বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৭ হাজার শ্রমিকের ১ মাসের বেতন, শ্রমিক ছাঁটাই, টার্মিনেশন বেনিফিট না দিয়ে বন্ধ ঘোষণা করে লেনি ফ্যাশন ও লেনি এ্যাপারেলসের কর্তৃপক্ষ। এসব দাবিতে আজ সকালে এসব দাবিতে ইপিজেড পুরাতন জোনের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।