বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

আশারকান্দিতে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় না থেকেও নৌকা পেতে তদবির

বিশেষ সংবাদদাতা, সিলেট   |   রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১   |   প্রিন্ট

আশারকান্দিতে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় না থেকেও নৌকা পেতে তদবির

আশারকান্দিতে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় না থেকেও নৌকা পেতে তদবির


 আসন্ন আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে নতুন নতুন প্রার্থীদের দেখা গেছে। এদের অনেকেই মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও নৌকা পেতে তদবির শুরু করেছেন। তা মেনে নিতে পারছেন না তৃনমুলের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা উড়ে এসে জুড়ে বসা ব্যক্তিকে নৌকা না দেওয়ার জন্য দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার ৮নং আশারকান্দি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে চেয়েছেন ৭ প্রার্থী। তাঁরা হলেন- গেল নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী বর্তমান চেয়ারম্যান ও রাজাকার পুত্র শাহ আবু ইমানি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সত্তার, আওয়ামী লীগ নেতা মশহুদ আহমদ, মোনায়েম খান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবু বক্কর খান খছরু, প্রবাসী সৈয়দ জমিরুল হক, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি হামিদুর রহমান চৌধুরী বাচ্চু। এদের মধ্যে ইউপি নির্বাচন করতে জোরেসোরে প্রচারণায় দীর্ঘদিন ধরে মাঠে ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান রাজাকার পুত্র শাহ আবু ইমানি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সত্তার, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি হামিদুর রহমান চৌধুরী বাচ্চু। শাহ ইমানি বর্তমান চেয়ারম্যান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া একাধিক মুক্তিযুদ্ধ গবেষকদের লেখা রাজাকারদের তালিকায় তার বাবা ও মামা রাজাকার বলে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধ সংসদের তালিকায়ও নাম রয়েছে তার বাবা ও মামার। আর আব্দুস সত্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যুক্তরাজ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থ ও আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি একাধিক সফল প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও স্থানীয় নয়াবন্দর স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্বে আছেন। হামিদুর রহমান চৌধুরী বাচ্চু গেল নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে তিনি জনবিচ্ছিন্ন।  এই তিনজন ছাড়াও মনোনয়ন চেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মশহুদ আহমদ, মোনায়েম খান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবু বক্কর খান খছরু, প্রবাসী সৈয়দ জমিরুল হক। তাদের নির্বাচনে মাটে কখনো দেখা যায়নি। স্থানীয়রা এদের ‘বসন্তের কোকিল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এরা নির্বাচন এলে এলাকায় আসেন। আবার নির্বাচন শেষ হলে বা দলীয় মনোনয়ন না পেলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে প্রবাসে চলে যান। এদের অনেকেরই আবার দেশীয় রাজনীতিতে নাই যোগসূত্র। বসন্তের কোকিলদের স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা না দিয়ে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের প্রতি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
Facebook Comments Box

Posted ৭:২২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১১ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬, ০২ ৪১০৫০৫৯৮

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins