মনিরুজ্জামান মনির, স্টাফ রিপোর্টারঃ | শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | পড়া হয়েছে 55 বার
নির্যাতনের পর এক যুবককে সীমান্তের শূন্যরেখায় ফেলে রাখা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দুপুরে পাপন মিয়া (৩২) নামে এই যুবককে নির্যাতন করে রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় উপজেলার রাজাপুর সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পাপন উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর গ্রামের নূরুল হক ভূইয়ার ছেলে। জানা যায়, দুপুরের দিকে সীমান্ত এলাকায় রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যানকে তারা বিষয়টি অবগত করে।
খবর পেয়ে চেয়ারম্যান ও আখাউড়া থানার ওসি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে। পরে উদ্ধারকৃত যুবককে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। খবর পেয়ে মাকে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসে পাপনের স্ত্রী সামিয়া বেগম। তিনি বলেন আমার স্বামী একজন মাদকাসক্ত। সব সময়ই সে নেশায় ডুবে থাকতো। তার নির্যাতন সইতে না পেরে আমি বাপের বাড়ি চলে আসি। তার ভয়ে পরিবারের সবাই আতংকে থাকে। কারা তাকে এমনভাবে নির্যাতন করেছে তিনি বলতে পারেন না বলে জানান।
পাপনের শাশুড়ি মিনা বেগম বলেন, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই অশান্তি। তার অত্যাচারে আমার মেয়ে আমার কাছে চলে আসে। মেয়ের সংসার বাঁচাতে অপেক্ষায় ছিলাম যদি সে ভালো হয়। উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমি এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একটি সামাজিক বিষয় নিয়ে আমার এলাকায় বসেছিলাম। খবর পাওয়ার পর আমরা সবাই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে রাজাপুর সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. লুৎফুর রহমান বলেন, মাথা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সবধরনের চিকিৎসা তাকে দেয়া হয়েছে। জ্ঞান না ফিরলেও সে শংকা মুক্ত।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, কারা এবং কি কারণে তাকে নির্যাতন করে এখানে ফেলে রেখেছে জানতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে ।
বাংলাদেশ সময়: ৭:৫১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel