রাজশাহী মহানগরীর আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় থেকে বিহাস পর্যন্ত নবনির্মিত ফোরলেন সড়কে ১ম পর্যায়ে আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় থেকে নাদের হাজির মোড় পর্যন্ত সড়ক দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিতে আলোকায়নের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আলিফ লাম মীম ভাটার মোড়ে ফলক উন্মোচন ও সুইচ চেপে আলোকায়নের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
উদ্বোধনকালে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশেগুলোর বিভিন্ন শহরে এমন চমৎকার সড়কবাতি থাকে। উন্নত দেশগুলোর মতো রাজশাহীতে প্রশস্ত সড়ক নির্মাণের পর বিদেশ থেকে আমদানি করা দৃষ্টিনন্দন পোল ও অত্যাধুনিক সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। সড়কে অধিক আলোর কারণে পথচারীদের নিরাপত্তা বাড়ছে, পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীতেও নগরীর অন্যান্য সড়কে এমন দৃষ্টিনন্দন আধুনিক সড়কবাতি লাগানো হবে। এভাবেই রাজশাহীকে সৌন্দর্য্যমন্ডিত ও উন্নত মহানগরীকে হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় হতে ছোট বনগ্রাম, মেহেরচন্ডী, বুধপাড়া, মোহনপুর রেলক্রসিং হয়ে বিহাস পর্যন্ত রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিমমুখি ৬ দশমিক ৭৯৩ কিলোমিটার ৪ লেন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সড়কের দুই পাশে ফুটপাথ, ১টি ব্রীজ, ৮টি কালভার্ট, মিডিয়ান ও ট্রাফিক কাঠামো নির্মাণ এবং ৩২৭ দশমিক ৫০ মিটার দৈর্ঘের ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। এবার সড়কটি আলোকায়ন করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় থেকে নাদের হাজির মোড় পর্যন্ত ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়কের আইল্যান্ডে ৮৭টি দৃষ্টিনন্দন পোল বসানো হয়েছে। প্রতিটি পোলে ২টি করে মোট ৮৭টি পোলে ১৭৪টি অত্যাধুনিক এলইডি বাল্ব লাগানো হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আগামীতে দ্বিতীয় পর্যায়ে নাদের হাজির মোড় হতে বিহাস পর্যন্ত ২৮৫টি দৃষ্টিনন্দন পোলে ৫৫৬টি আধুনিক সড়কবাতি বাসানো হবে। অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলবে ও নিভবে।
সড়ক আলোকায়নের উদ্বোধনকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, সিটি কর্পোরেশনের পানি ও বিদ্যুৎ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলি সহ সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহাদত আলী শাহু, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমেদ আল মঈন পরাগ, সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান সুইট, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল ইসলাম সুমন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী তানভীর হাসান সজিব, কামাল পারভেজ সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এরআগে নগরীর বিভিন্ন সড়ক দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিতে আলোকায়ন করা হয়েছে। কাশিয়াডাঙ্গা মোড় থেকে বিলসিমলা রেল ক্রসিং পর্যন্ত চার দশমিক দুই কিলোমিটার সড়কটিতে ১৭৪টি দৃষ্টিনন্দন পোলে বাসানো হয়েছে ৩৪৮টি আধুনিক এলইডি বাল্ব। বাতিগুলো প্রজাপতির মতো ডানা মেলে আছে। মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ উপশহর মোড় হতে দড়িখরবোনা, কাদিরগঞ্জ, মহিলা কলেজ, মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি হয়ে সোনাদিঘি মোড় এবং মালোপাড়া মোড় হতে রানীবাজার মোড় পর্যন্ত সড়কে মোট ৯৬টি ডেকোরেটিভ পোলে ৯৬টি দৃষ্টিনন্দন এলইডি সড়কবাতি লাগানো হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন-অফ হয়। সড়কবাতিগুলো আলোর পাশাপাশি নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করছে।